বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধোরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

1st April 2021 8:01 pm বাঁকুড়া
বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধোরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  এবার সোনামুখী পৌরশহরে বিজেপির এক পোলিং এজেন্টকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে । জানা যায় , সোনামুখী বিধানসভার সোনামুখী পৌরশহরের ৭৩ নম্বর বুথের জগন্নাথ সু নামে বিজপির পোলিং এজেন্ট বিশ্রামের জন্য বাইরে বেরোলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাকে ঘিরে ধরে মারধর করে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকায় । বিজেপির পক্ষ থেকে সোনামুখী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । 

জগন্নাথ সু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান , আমি বাইরে বেরোলে তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ দিয়ে রোলার দিয়ে আমাকে মারধর করে এবং আমার পকেট থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রুপোর হার এবং কিছু পয়সা নিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন । 

সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী দিবাকর ঘরামী বলেন ,  তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে গেছে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে তাই নিরীহ মানুষদের ওপর আক্রমণ করছে ।

তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয় । সোনামুখী ব্লক সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় জানান , ওরা সম্পূর্ণ নাটক করছে মানুষের জনসমক্ষে যতটা বেশি সহানুভূতি আদায় করা যায় তারই খেলা খেলতে গেছে বলে জানান তিনি ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।